,

বানিয়াচংয়ের ওসির তৎপরতায় ৩ সপ্তাহে ৭৭ আসামী গ্রেফতার

আনোয়ার হোসেন ॥ বানিয়াচং থানায় চট্রগ্রাম থেকে বদলী হয়ে গত ১৫ অক্টোবর যোগদান করেন অফিসার ইনচার্জ রঞ্জন কুমার সামন্ত। তিনি যোগদান করার পর থেকে উপজেলায় ডাকাতি, চুরি, সন্ত্রাসী, মাদক, জুয়া বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। ওই অভিযানে কুখ্যাত ডাকাতসহ  বিভিন্ন মামলার পরোয়ানাভূক্ত ও দাঙ্গার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ সপ্তাহেই ৭৭ জন আসামী গ্রেফতার করে বানিয়াচং থানার পুলিশ। এছাড়া সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক ও বাল্য বিবাহের কঠিন পরিনতি সম্পর্কে ব্রিফিং ও সভা সেমিনার অব্যাহত রেখেছেন ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত। পুলিশের এই যুগপোযোগী পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত বলেন পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। উপজেলায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে অপরাধীরা যত শক্তিশালীই হোকনা কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। বিশেষ অভিযানে সফলতা আসায় থানায় কর্মরত সকল অফিসার ও স্টাফদের প্রশংসা করেন তিনি। ওসি আরও বলেন মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, দাঙ্গা ও বাল্য বিবাহ রোধে পুলিশ জিরো ট্রলারেন্সে। তিনি বানিয়াচং থানার আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে সকল স্তরের মানুষের সহযোগীতা কামনা করেন। জানা যায়, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বানিয়াচং থানায় যোগদান করে ওসি পরদিন ১৬ অক্টোবর বিশেষ অভিযান শুরু করেন ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত। ওইদিন ওসির নেতৃত্বে এসআই আব্দুছ ছাত্তার এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স পরোয়ানাভূক্ত আসামী কুশশা খাগাউড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান, ওমরপুর গ্রামের কনর মিয়া এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অন্যান্য মামলার আসামী আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ অক্টোবর এসআই আব্দুছ ছাত্তারসহ সঙ্গীয় ফোর্স পরোয়ানাভূক্ত আসামী হেঙ্গুমিয়ার পাড়ার মোঃ জলিল মিয়াকে গ্রেফতার করেন। ১৮ অক্টোবর এএসপি সাকের্ল ও ওসি’র নেতৃত্বে উপজেলার সর্বত্র দিবারাত্রি অভিযান চালিয়ে মুরাদপুর গ্রামের পরোয়ানাভূক্ত আসামী ইক্রাম গ্রামের সিরাজ মিয়া, শহিদ মিয়া, হারুন মিয়া, মিলন মিয়া, নিয়ামত বেগম এবং দৌলতপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান, তারেক মিয়াকে এসআই ফিরোজ আল মামুন ও এএসআই শফিকুল ইসলাম গ্রেফতার করেন। ২০ অক্টোবর এসআই আব্দুছ ছাত্তারসহ সঙ্গীয় ফোর্স ইছুবপুর গ্রামের ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী অমৃত মিয়া, হোসেনা বেগম ও দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের মুখলেছ মিয়া, সেবুল মিয়া চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন রাত্রে এএসপি সার্কেলের উপস্থিতিতে সুবিদপুর ব্রীজের উপর থেকে ইজাজুল হক, আব্দুল হামিদ, কাউছার, তাউছ মিয়া এবং অপর স্থান থেকে বড়বহুলা গ্রামের ইয়াসমিন আক্তারকে এসএসআই দেলোয়ার হোসেন আটক করেন। বানিয়াচং থানার ওসির সরাসরি নেতৃত্বে ২১ অক্টোবর ডাকাতি মামলার আসামী সারাংপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন ওরফে মঈনুদ্দিন, সুমন মিয়া, বিলাল মিয়া, আলফু মিয়া এবং গাজীপুর বন্দের বাড়ির ওয়ারেন্টের আসামী নুরুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, সাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ অক্টোবর পরোয়ানাভূক্ত আসামী বরকত আলী, মোহনলাল বর্মন, সাদ্দত আখঞ্জি, সামছু মিয়াকে এসআই আব্দুছ ছাত্তার গ্রেফতার করেন। ২৩ অক্টোবর পরোয়ানাভূক্ত আসামী ফারুক মিয়া, সাহাব উদ্দিন সোয়েব মিয়া, রহিম মিয়া, বাচ্চু মিয়া, রাজিয়া খাতুন, লাকুছ মিয়াকে গ্রেফতার করেন এসআই আব্দুস সাত্তার ও সঙ্গীয় ফোর্স। ২৭ অক্টোবর ডাকাত জুয়েল মিয়া, ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী বাচ্চু মিয়া, জনাব আলী মোল্লা, উজ্জল মোল্লাকে এসআই দ্রুবেশ চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় গ্রেফতার করেন। ২৮ অক্টোবর পরোয়ানাভূক্ত আসামী সাজ্জাদুর রহমান, শেখ মোঃ মাসুক আলী, চনু মিয়াকে এসআই এমএ ফারুক সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় গ্রেফতার করেন। ৩০ অক্টোবর উত্তর সাঙ্গর গ্রামের পরোয়ানাভূক্ত আসামী সুরুজ্জুমান মিয়া, ইয়াউর রহমান, জাকির হোসেন, এছাক মিয়া, মালেক মিয়া, কাজী ধনু মিয়া, মোঃ আবুল কাশেমকে এসআই দ্রুবেশ চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় গ্রেফতার করেন। ৩১ অক্টোবর এএসআই মহিনুর ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স বলাকাীপুর এলাকার পরোয়ানাভূক্ত আসামী কিরন মিয়াকে আটক করেন। ৪ নভেম্বর এসআই আব্দুছ ছাত্তার ও এসআই মোঃ আব্দুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স ডাকাতি মামলার আসামী শাহ আলম, মাদক মামলার আসামীসহ মোট ১১ জন আসামীদের গ্রেফতার করেন। ৫ নভেম্বর ওসি রঞ্জন কুমার সামন্তের নেতৃত্বে সকল অফিসার উপজেলায় দিবারাত্রি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত ৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ গতকাল ৬ অক্টোবর দিবারাত্রি অভিযানে চুরি মামলার আসামী বিরাট উজানপাড়া গ্রামের শহিদ মিয়ার পুত্র সাজু মিয়াকে এসআই সালাউদ্দিন এবং ওয়ারেন্টের আসামী মকা গ্রামের মতি মিয়ার পুত্র আতাউর রহমানকে এসএসআই দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় গ্রেফতার করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর